করোনা পরীক্ষা ফি বাতিল করুন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার বিষয়টি রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। জনস্বার্থে রাষ্ট্র নিজ উদ্যোগে নাগরিকদের বিনামূল্যে করোনাভাইরাস টেস্ট করানোর সুযোগ সহজ করবে। তাই অবিলম্বে করোনাভাইরাস টেস্টের জন্য ফি বাতিল করে বিনামূল্যে নাগরিকদের টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি, অবিলম্বে সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়েও টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, করোনা টেস্টের ফি ২০০ টাকা ধার্য করে সরকার এখন জনগণের রক্ত চোষার ভূমিকায়। আজকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে, সরকার করোনার ব্যাপারে, টেস্টের ব্যাপারে নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকার নির্ধারিত সাড়ে ৩ হাজার টাকায় কোভিড টেস্ট করছে না। যে যার মতো ৫/৬ হাজার টাকা পর্যন্ত জনগণের পকেট কেটে নিচ্ছে। সরকার তা নিয়ন্ত্রণে কোনো চেষ্টাই করছে না, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমস্ত মনোযোগ দুর্নীতি আর লুটপাটে। একটি হাসপাতালে ডাক্তার-নার্সদের খাবার-দাবারের বিল ২০ কোটি টাকা দেখালেও অভিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, কোনো দুর্নীতি হয় নি। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে এই ২০ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করলেও এব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা এখনো শোনা যায়নি।
করোনা টেস্টের ওপর ফি আরোপের সরকারি সিদ্ধান্তকে ‘গণবিরোধী’ অভিহিত করে তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও সরকারিভাবে কোভিড টেস্টের ওপর অর্থ নেওয়া হয় না। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তান ও প্রতিবেশি দেশেও বিনামূল্যে, বিশ্বের সবচেয়ে গরীব দেশ পশ্চিম আফ্রিকার বুরকিনা ফাসোতেও কোভিড টেস্ট বিনামূল্যে করা হচ্ছে। আর আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠি এই মহামারিকে বানিয়েছে মুনাফা অর্জনের উপলক্ষ। এরা কতটা অমানবিক তার নিকৃষ্টতম তার প্রমাণ করোনা টেস্টে ফি ধার্য। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রামণ রোধে টেস্টে বৃদ্ধি করাকে প্রধান অবলম্বন বলছেন সেখানে টেস্ট করাতে ফি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা উপসর্গ থাকার পরও করোনা পরীক্ষা করাতে পারছেন না।