রাজধানীর সড়কে বেড়েছে যানবাহনের জট
ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরেছে অধিকাংশ মানুষ। অফিস আদালত, ব্যাংক, দোকানপাট-শপিংমল পুরোদমে চালু হওয়ায় রাজধানী ঢাকায় যানবাহনের চাপও বেড়েছে। ফলে সড়ক ফিরতে শুরু করেছে পুরনো রূপে। যানবাহনের চাপে বিভিন্ন সড়কের মোড়ে সিগন্যালে এখন অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। দেখা মিলছে যানজটেরও।
বুধবার (৩ মে) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়া এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় সকালের দিকে সড়কে গণপরিবহনের চাপ বেড়েছে। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে।
সকালে কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শাহবাগ এলাকায় দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে শুরু করে রিকশা, অটোভ্যান, সিএনজিসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচল করছে। একই চিত্র দেখা গেছে সায়েন্সল্যাব ও পল্টন এলাকায়। সেখানে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। আর এ এলাকাগুলোতে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমও ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে যানজটের শহরে গণপরিবহণের দিন অনকেটাই শেষ হয়ে গেছে। মানুষ এখন বেশি বেশি এক গাড়ির এক যাত্রী নির্ভর হয়ে পড়েছে। যতটা মানুষের বৃদ্ধিজনিত কারণে রাজধানীর সড়ককে দীর্ঘ করেছে, তার চেয়ে বেশি করছে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জিপ। অনেকেই আবার যাত্রার জন্য পাঠাও বা উবারে বাইক নিতে পছন্দ করেন। তবে তাদেরও এদিন সিগন্যালে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
আজ (বুধবার) দুপুরে আজমপুর থেকে বিমানবন্দর, কাওলা থেকে খিলক্ষেত, হোটেল র্যাডিসন থেকে মহাখালী পর্যন্ত হালকা যানজটের খবরও পাওয়া গেছে।
উত্তরা থেকে গুলিস্তান রুটের বাস চালক মো. রাহাত হোসেন বলেন, সকালে জ্যাম তেমন ছিল না। কিন্তু এখন ফেরার পথে এমইএস এসে কিছুটা জ্যামে পড়েছি। আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে প্রায় আধা ঘণ্টা।
রাইড শেয়ারিং অ্যাপে চলা একটি মোটরসাইকেলের চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, জ্যামের কথা বলে লাভ নাই। ঈদের ছুটিতে কয়েকদিন রাস্তা ফাঁকা থাকলেও এখন আবার আগের অবস্থা শুরু হয়েছে। আমি সকাল ৮টায় বের হয়েছি। বেশ কিছু ভাড়াও মেরেছি। তবে বিজয় স্মরণীসহ প্রায় সব মোড়েই সিগন্যালে পড়ে সময় গেছে প্রচুর।
এসব বিষয়ে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থানরত ট্রাফিক পুলিশদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঈদের ছুটি শেষ হয়ে অফিস-আদালত, দোকানপাট-শপিংমল খুলেছে। সে কারণে মানুষের পাশাপাশি যানবাহনের চাপ বেড়েছে।