দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। তবে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) থেকে শুক্রবার (১৫ জুলাই) কিছু নদীর পানির উচ্চতা কমেছে, আবার কিছু নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার কার্যালয়।  

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ঝালকাঠির বিষখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

এছাড়া বরগুনার বিষখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ও পাথরঘাটার বিষখালি নদীর পানি ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভাগের অনেক নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।