দেশে করোনায় আরও ৯৭ মৃত্যু শনাক্ত ৩৩০৬

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ১৫০ জনে পৌঁছাল। ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ হাজার ৩০৬ জনের মধ্যে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। রোববার শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৯২২ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৮ জন। সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৪ হাজার ২৪১ জন এক দিনে সুস্থ হয়েছেন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ জন। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ, তা সাত লাখ পেরিয়ে যায় ১৪ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৫ এপ্রিল তা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যু হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৫০টি ল্যাবে ২৫ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ লাখ ৭১ হাজার ২৮৭টি নমুনা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪৭টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪০টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৬১ জন পুরুষ আর নারী ৩৬ জন। তাদের ৪৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা যান তিন জন, আর একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। মৃতদের মধ্যে ৫৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, চারজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, দুজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, চারজন রাজশাহী বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, তিনজন বরিশাল বিভাগের, ছয়জন সিলেট বিভাগের, দুজন রংপুর বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ১৫০ জনের মধ্যে আট হাজার ১৮১ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৯৬৯ জন নারী।

এতে বলা হয়, মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬ হাজার ৩৩৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৭১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ হাজার ২৩৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৫৫০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২০১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৭৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৪২ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। মৃতদের ৬ হাজার ৫১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ২ হাজার ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫৮২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৬৭৯ জন খুলনা বিভাগের, ৩৩১ জন বরিশাল বিভাগের, ৩৭৯ জন সিলেট বিভাগের, ৪১৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ২৩৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *