অশান্ত আত্মার ‘বিদ্রোহী সৈয়দ’

বাংলাদেশ নামের দেশ তখনো হয়নি। অর্ধ শতাব্দীর আগের এ জনপদের বর্ণনা আজকের দিনে অনেকটাই রূপকথার মতো শোনাবে। দুই শ বছরের ব্রিটিশ শাসনের পর ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত জনপদ। পাকিস্তান নামক দেশের নামে পরাধীন এক অনগ্রসর অঞ্চল ছিল আজকের বাংলাদেশ। এ অনগ্রসরতার সঠিক চিত্র আজ কেবল অনুমান করাই যেতে পার। তখনকার বাস্তবতাকে সঠিক উপস্থাপনের সুযোগ এবং অনুধাবনের কোনো অবকাশ আজ আমাদের নেই।

পশ্চাৎপদ এক দেশের দুর্গম এক এলাকায় আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। মনে পড়ে, আমাদের সেই প্রত্যন্ত গ্রামের বাড়িতে মাঝেমধ্যে বেশ কিছু আগন্তুকের আগমন হতো। অনেকটা পাহাড়ি এলাকায় আমাদের গ্রামের বাড়ি। আগন্তুকদের মধ্যে কেউ এসে ঝিম ধরে থাকতেন। কেউ কথা বেশি বলতেন। কেউ পালিয়ে বেড়ানোর জন্য আসতেন। তাদের নাকি পুলিশ খুঁজছে। কেউ নিরিবিলি ইবাদত বন্দেগির জন্যও আসতেন। রহস্যময় সব লোকজনের এমন আগমন আমার শৈশব ও কৈশোরে বেশ আনন্দময় ও উত্তেজনাকর অভিজ্ঞতা ছিল।

ব্রিটিশ ভারতে পূর্ব বাংলায় যখন শিক্ষার পিদিম জ্বালানোর কাজ শুরু হয়েছিল, তা ছিল মূলত ব্রিটিশদের স্বার্থেই। প্রকৃত অর্থে ব্রিটিশ শাসকেরা তাদের বেনিয়া কার্যক্রম চালিয়ে নিতেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। সে সময়েই সিলেটের পূর্বাঞ্চলে একজন শিক্ষক ও সংস্কারক হিসেবে আমাদের পূর্বপুরুষেরা পরিচিতি লাভ করেন। ব্রিটিশ ভারতে বেনিয়া শাসকদের তাড়ানোর কাজে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে অনেকেই জড়িয়ে পড়েন। কেউ তখন মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের অনুসারী, কেউ-বা নেতাজি সুভাষ বসুর অনুসারী। স্বদেশি আন্দোলন ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের গল্প শুনেই বেড়ে ওঠার কথা মনে পড়ে।বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের গল্প শুনেছি জন্মের পর থেকে। ব্রিটিশদের বিদায় করে ‘স্বাধীন’ পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর গল্প বলতেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা। আমার এক দাদা মাশুক উদ্দিন চৌধুরী ১৯৪৭ সালে প্রথম উত্তোলিত পাকিস্তানের পতাকাটি দেখিয়ে তাঁর যৌবনের দ্রোহকালের গল্প বলতেন। একই সময় আমরা শুনতাম, নেতাজি সুভাষ বসুর স্বদেশি আন্দোলনের ভিন্ন গল্প। ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হায়’ আন্দোলনের গল্প। তত দিনে পূর্ব বাংলার মানুষের অন্য লড়াই শুরু হয়ে গেছে।

আমাদের গ্রামের বাড়িতে তখন এক সুদর্শন যুবক আসতেন। আমার বাবা বলতেন, তাঁর ফুফু নুরুন্নেছা চৌধুরীর বড় ছেলে তিনি। ‘লংলার ফুফু’র ছেলে বলে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন—এখনো মনে পড়ে। ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে যাচ্ছি। লংলার ‘শোয়াইব চাচা’র আগমন ঘটলে বাবাকে বেশ উত্তেজিত দেখা যেত। আমার রাশভারী বাবা তাঁর ফুপাতো ভাইকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপে মত্ত থাকতেন। এসব আলাপ যে রাজনীতি ও আন্দোলনের বিষয়ে, তা বুঝতে শুরু করার সময় তখন আমার।

উজ্জ্বল গাত্রবর্ণের সুদর্শন মানুষ, মুখে দাঁড়ি। শৈশব-কৈশোরে দেখা সবচেয়ে সুদর্শন মানুষ ছিলেন আমার এই লংলার চাচা, সৈয়দ আকমল হোসেন, যিনি ‘বিদ্রোহী সৈয়দ’ নামে খ্যাতি পেয়েছিলেন। পূর্ব বাংলার সিলেট অঞ্চলের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের আসাম প্রাদেশিক ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন ছাত্রাবস্থায়। অবিভক্ত সিলেট অঞ্চলের ছাত্র আন্দোলনের এক অগ্রসেনানি হিসেবে দ্রুত পরিচিতি পান সৈয়দ আকমল হোসেন। মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিজের জীবন, পরিবার বা সংসারে নিবিষ্ট হওয়ার জন্য সৈয়দ আকমল হোসেনদের জন্ম হয় না। আকমল হোসেন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সাম্যের লড়াইয়ে নিজেকে ভাসিয়ে দেন। বাম প্রগতিশীল চেতনায় ঋদ্ধ হয়ে তখনকার সময়ে জেগে ওঠা আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছিলেন বর্তমান মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার সন্তান সৈয়দ আকমল হোসেন। কৃষক, শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে পুরো অঞ্চলের একজন সামনের সারির সংগঠক ছিলেন তিনি। চা শ্রমিক, রেল শ্রমিকসহ পরাধীন দেশের মুক্তিকামী মানুষের জেগে ওঠার লড়াইয়ে নিজেকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রেখেছিলেন সৈয়দ আকমল হোসেন।

পূর্ব বাংলার রাজনীতিতে তখন এক ব্যতিক্রমী মাওলানা ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য লড়াই থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন মাওলানা ভাসানী। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর হয়ে উঠেছিলেন সৈয়দ আকমল হোসেন। লড়াই করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন বারবার। সৈয়দ আকমল হোসেন নিজের জীবনের ১১ বছরই কাটিয়েছেন কারাগারে। বাংলা ভাষার জন্য পূর্ব বাংলার মানুষের লড়াইয়ের মাঠের সংগঠক ছিলেন তিনি। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ঐতিহাসিক অভিযাত্রায় সৈয়দ আকমল হোসেনের ভূমিকা ছিল অগ্রপথিকের।

সৈয়দ আকমল হোসেনকে কখনো কোনো পারিবারিক আলোচনায় নিজের কথা বলতে শুনিনি। বাংলাদেশের বাম প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা কমরেড আসদ্দর আলী, আশিক চৌধুরী, মনির উদ্দিন প্রমুখের মুখে তাঁর গল্প শুনতাম। যৌবনে নিজেও যখন জড়িয়ে যাই রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে, তখন একজন সৈয়দ আকমল হোসেন সম্পর্কে কিছুটা জানার সুযোগ আসে। রাজনৈতিক চেতনায় শাণিত হতে এই জানাটা আমাকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করি।বিজ্ঞাপন

কমরেড আসদ্দর আলী সৈয়দ আকমল হোসেনকে স্মৃতি তর্পণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘১৯৫৬ সালে রেলওয়ে ধর্মঘটকে উপলক্ষ করে সৈয়দ সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৬৭ সালে বড়লেখার ধামাই চা বাগানের শ্রমিকেরা ধর্মঘট করেন। সিলেটের ৮৭টি চা বাগানের শ্রমিক এই ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানান। ধর্মঘট ১৪ দিন চলে। কর্তৃপক্ষ ধর্মঘটের শ্রমিকদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে। বাহির থেকে ধামাইয়ের শ্রমিকদের জন্য খাদ্য সাহায্য বন্ধ করার উদ্দেশ্যে পুলিশ ও ইপিআর সব সড়কপথ অবরোধ করে রাখে। তখন মফিজ আলী, আবু কায়সার খান, সুনীল লোহ, পংকি মিয়া প্রমুখ সহযোগে গঠিত কমিউনিস্ট পার্টির টিমই চা শ্রমিক আন্দোলনের দায়িত্বে ছিলেন। জেলা কেন্দ্র থেকেও পার্টি নেতারা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখতেন। রেলযোগে খাদ্য সরবরাহ করে ধামাই অবরোধের প্রতিবিধান চিন্তা করা হয়। ধামাইয়ে রেল স্টেশন ছিল না। রেল কর্মীদের ওপর সৈয়দ সাহেবের বিরাট প্রভাব ছিল। তাঁর সাহায্যে ধামাইয়ের কাছে রেল থামানোর ব্যবস্থা করে খাদ্য দ্রব্য ফেলে দেওয়া হতো। সেখান থেকে নারী শ্রমিকেরা শাড়ির আঁচলে করে চাল-ডাল গোপন পথে বাগানে নিয়ে যেতেন।’

বিদ্রোহী সৈয়দ হিসেবে গ্রামবাংলায় পরিচিতি পাওয়া সৈয়দ আকমল হোসেনের অনুসারী ও পারিবারিক উত্তরসূরিরা এখন গোটা বিশ্বে ঝড়িয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে মঈনুস সুলতান, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, আবদুল করিম কিম, মুহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরীসহ অনেকের নামই উল্লেখ করা যায়। নিজেরা আমরা কোনো পরিচয় অর্জন করেছি কি না—সে কথা পাশে সরিয়ে রেখেই একজন সৈয়দ আকমল হোসেনের উত্তরসূরি হিসেবেই পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমাদের এ বোধ ও চেতনার ধারাবাহিকতাতেই সৈয়দ আকমল হোসেন, এক অশান্ত আত্মার প্রশান্ত হৃদয়ের সৈয়দ সাহেব বেঁচে থাকবেন। বেঁচে থাকবেন অধিকারহারা মানুষের লড়াই সংগ্রামের জন্য জেগে ওঠা প্রতিটি সংগ্রামে।

কমরেড আসদ্দর আলীই সৈয়দ আকমল হোসেন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘১৯৭০ সালে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের অপরাধে অন্যদের সঙ্গে সৈয়দ সাহেব এবং আমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে সেই সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির কোনো কোনো নেতা আমার ওপর খুব বিক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল—(১) সোভিয়েত রাশিয়া সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ বলে আমি বিশ্বাস করতাম না। (২) আমি নির্বাচনের পক্ষে ছিলাম। (৩) আমি কমরেড চারু মজুমদারের লাইন সঠিক মনে করতাম না। (৪) তখন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাই প্রধান জাতীয় প্রবণতা ছিল বলে আমার ধারণা ছিল। সৈয়দ আকমলও আমার প্রতি এই অভিযোগে বিরূপ ছিলেন। জেলে প্রথম আলাপেই তিনি অকপটে এ কথা স্বীকার করেন। তিনি মুখ কাটা বলেই সবাই জানতেন। আমাকে কিছু কাটা কাটা কথাও তিনি শোনান।’

একজন স্পষ্টভাষী, নিবেদিত, সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়া রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন সৈয়দ আকমল হোসেন। জীবনে নিজের জন্য কিছুই করেননি বা করার চিন্তাও করেননি। জীবনভর সৈয়দ আকমল হোসেনের দিন শুরু হতো মানুষের অধিকার আদায়ের সাংগঠনিক কাজ দিয়ে। নিজের সংসারের চাল-চুলোর খবর রাখেননি কোনো দিন। খবর রাখতেন বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার নিয়ে লড়ে গেছেন আজীবন।

পূর্ব বাংলার রাজনীতি নানা বাঁক নিয়েছে বারবার। এসব বাঁকে নিজেদের হারিয়েছেন সৈয়দ আকমল হোসেনের মতো লড়াকু মানুষগুলো। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির নিষ্ঠুর খেলায় সৈয়দ আকমল হোসেনেদের জীবনে রাজনৈতিক সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বাম প্রগতিশীলদের মধ্যে বারবার বিভক্তি এসেছে, বিভ্রান্তি এসেছে। রাজনীতির চতুর খেলায় সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা, আর শোষণ-বঞ্চনার অবসানে তাঁদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।

সৈয়দ আকমল হোসেনের মতো নিজেকে নিঃশেষ করে দেওয়া অনেক স্বপ্নচারী বিপ্লবী ছিলেন। এমন আরও অনেক লড়াকুর মতো তিনিও হারিয়ে গেছেন কালের গহ্বরে। দেশের মানুষের আজকের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন সৈয়দ আকমল হোসেনকে মূল্যায়ন করার সুযোগও নেই। তাই বলে মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করার এমন প্রয়াস বৃথা হয়ে যায় না। সৈয়দ আকমল হোসেনদের কর্ম অনুচ্চারিত থাকলেও অনুপ্রেরণার জন্য উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেয় বঞ্চিত, অধিকার হারা মানুষের প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে।

আজ থেকে ৩৬ বছর আগে ৩০ জানুয়ারি আমার চাচা সৈয়দ আকমল হোসেনের শেষ বিদায়ে উপস্থিত ছিলাম। এক জৌলুশহীন জনতার নেতার নিঃস্ব অবস্থায় চলে যাওয়ার দিনটাতে আমরা আপ্লুত হয়েছিলাম। শেষ বিদায়ে দেখা সৈয়দ আকমল হোসেনের সফেদ হাসিমুখ আমাকে তাড়িত করেছে। নিজের জীবনে সততা ও নৈর্ব্যক্তিকতাকে ধারণ করার নিত্য প্রয়াসে সৈয়দ আকমল হোসেন আমাদের যে বার্তা দিয়ে গেছেন, তা আজও বহন করে চলেছি।

আমার সদ্যপ্রয়াত কাজিন আ ন স হাবিবুর রহমান তাঁর জীবদ্দশায় সৈয়দ আকমল হোসেনের কথা বলে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে বসেও আমাদের মধ্যে চেতনার বাতি আলো বিলিয়ে যেতেন সৈয়দ আকমল হোসেন। আমার বন্ধু শহীদুল ইসলাম শাহীনকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তাঁর শেষ সময়ের এ রাজনৈতিক সহযোগী তাঁকে নিয়ে একটি প্রকাশনার কাজ করেছেন, যা আমাদের জন্য এক অমূল্য দলিল।

বিদ্রোহী সৈয়দ হিসেবে গ্রামবাংলায় পরিচিতি পাওয়া সৈয়দ আকমল হোসেনের অনুসারী ও পারিবারিক উত্তরসূরিরা এখন গোটা বিশ্বে ঝড়িয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে মঈনুস সুলতান, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দ অনিক চৌধুরী, আবদুল করিম কিম, মুহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরীসহ অনেকের নামই উল্লেখ করা যায়। নিজেরা আমরা কোনো পরিচয় অর্জন করেছি কি না—সে কথা পাশে সরিয়ে রেখেই একজন সৈয়দ আকমল হোসেনের উত্তরসূরি হিসেবেই পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমাদের এ বোধ ও চেতনার ধারাবাহিকতাতেই সৈয়দ আকমল হোসেন, এক অশান্ত আত্মার প্রশান্ত হৃদয়ের সৈয়দ সাহেব বেঁচে থাকবেন। বেঁচে থাকবেন অধিকারহারা মানুষের লড়াই সংগ্রামের জন্য জেগে ওঠা প্রতিটি সংগ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *