সাংবাদিক জুলহাস হত্যা মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

ঢাকার ধামরাইয়ে সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত আনিসুর রহমান নামের এক আসামিকে শনিবার রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন তাকে গ্রেপ্তার করেন। দীর্ঘ চার মাস দুদিন পর পলাতক থাকার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন আনিস। এ মামলার প্রধান আসামি শাহীন ও তাঁর খালাতো ভাই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বর্তমানে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

আনিসকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগরে দুরপাল্লা যাত্রীবাহী পরিবহনের বিভিন্ন ধরণের বাস কাউন্টারের সামনে থেকে আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অবস্থান পরিবর্তনের জন্য সম্ভবত কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুরপাল্লা যাত্রীবাহী বাস কাউন্টারে গিয়েছিলেন আনিস। তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।  
 
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর জুলহাস উদ্দিন মানিকগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী বাসে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বারবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ডে দুপুর আড়াইটার দিকে নামেন। ওই সময় একই বাস থেকে নামেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সোমার প্রথম স্বামী শাহীন ও তার খালাতো ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন। বাস থেকে নেমেই তাঁরা সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের গলায় ছুরিকাঘাত করেন। জুলহাস মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁরা জুলহাসের বুকের ওপর উঠে পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে তাদের দুজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে। ওই সময় জুলহাসকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.আরিফুর রহমান মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় জুলহাসের বোন বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শাহীনকে। অন্য আসামিরা হলেন- জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোমার ভাই আনিসুর রহমান আনিস, ভগ্নিপতি মামুন হোসেন ও তার ভাই আবদুল মালেকসহ অজ্ঞাত চারজন। 

নিহত জুলহাস উদ্দিন ধামরাই প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি ও বেসরকারি চ্যানেল বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ধামরাই উপজেলার দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের মৃত রহিজ উদ্দিনের ছেলে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *