বমি-মাথা ব্যাথা থেকে আচমকা বেঁকে যাচ্ছে হাত-পা! ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২৯০, আজানা রোগের আতঙ্ক।

মাথা ব্যাথা, শরীরে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব… তারপরেই হঠাৎই মৃগীর মতো খিচুনি হচ্ছিল স্থানীয়দের। এভাবেই এক রাতের মধ্যে একে একে ভর্তি করতে হয় মহিলা ৪৬ শিশু-সহ ২৯০ জনকে।

এলুরু, অন্ধ্রপ্রদেশ:অজানা আতঙ্ক এখন অন্ধ্রপ্রদেশের আকাশে-বাতাসে। কারণ নাম না জানা এক রোগ। যে রোগে মাত্র একরাতের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯০ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে একাধিক শিশু। মৃত্যু হয়েছে মধ্যবয়সী এক মহিলার।   মূলত অন্ধ্রের পশ্চিম গোদাবরী জেলার এলুরুর নর্থ স্ট্রিট, সাউথ স্ট্রিট, অরুন্ধতিপেট এবং অশোকনগর এলাকাতেই ঘটছে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়া বাসিন্দাদের এলুরু সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয়রা জানিয়েছেন শনিবার আচমকাই এলাকার বাসিন্দারা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। মাথা ব্যাথা, শরীরে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব… তারপরেই হঠাৎই মৃগীর মতো খিচুনি হচ্ছিল স্থানীয়দের। এভাবেই এক রাতের মধ্যে একে একে ভর্তি করতে হয় মহিলা ৪৬ শিশু-সহ ২৯০ জনকে। মৃত্যু হয় ৪৫ বছরের এক মহিলার। তবে স্থানীয় এলুরু সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৭ জন বাদে আপাতত সকলেই বিপন্মুক্ত। রবিবারই গুরুতর অসুস্থ ৭ জনকে বিজয়ওয়াড়ার একটি সরকারী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা জান ওই মহিলা। এলুরু হাসপাতাল থেকে ১৪০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য ও পুরকর্মী, আধিকারিকদের অনুমান জল থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে। জলে বিষক্রিয়া হয়ে যাওয়ায়, তা থেকে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নর্থ স্ট্রিট এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, অসুস্থ হয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের প্রত্যেকের বাড়ির জল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পরে এলাকার পৌঁছন অন্ধ্রপ্রদেশের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আল্লা কালীকৃষ্ণ শ্রীবাস। তিনি হাসপাতালে গিয়েও অসুস্থ বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ দিনের ঘটনার পরে সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *