টিকা দেওয়ার ছক প্রস্তুত
সপ্তাহখানেক পরই দেশে আসছে বহু প্রত্যাশিত করোনাভাইরাসের টিকা। এর জন্য প্রতিদিন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক, সভা, প্রশিক্ষণসহ নানা ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। টিকা রাখার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গোডাউনগুলো। আট বিভাগের কোন জেলায় কী পরিমাণ টিকা সরবরাহ করা হবে, সে বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি হয়েছে; তবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কোন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, তা বিবেচনায় নিয়ে টিকা বণ্টনের ছক তৈরি করা হয়েছে। শুরুতে যেসব জেলায় বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, সে রকম আট-১০টি জেলায় টিকা যাবে। সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ টিকা পাবে ঢাকা বিভাগ।
গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে টিকাদানকারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষক গ্রুপের প্রশিক্ষণ। চিকিৎসকদের ২৫ জনের একটি প্রশিক্ষক দল নিজেরা করোনার টিকা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পরে তাঁরা অন্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে টিকা সরবরাহ ও প্রয়োগ ব্যবস্থাপনাভিত্তিক একটি বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৈঠকে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন সচিব ও মহাপরিচালকরা; আগের পরিকল্পনাগুলো বিশ্লেষণ করে সে অনুযায়ী কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখনো আমরা কোন কোন জেলায় আগে টিকা যাবে, সেটা চূড়ান্ত করিনি। তবে আমাদের ভাবনা রয়েছে বড় ১০টি শহরবেষ্টিত জেলায় আমরা টিকা পাঠাব। এ ক্ষেত্রে যেখানে বেশি সংক্রমণ রয়েছে, সেদিকটিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘সবার আগে টিকা দেওয়া হবে টিকাদানকারী পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সরকারি হাসপাতালগুলো প্রাধান্য পাবে। তার সঙ্গে একই সময়ে টিকা দেওয়া হবে মাঠপর্যায়ের একদল স্বাস্থ্যকর্মীকে। বলা যায় পাইলট আকারে তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। তাঁরাই পরে সাধারণ মানুষকে টিকা দেবেন। অন্যদিকে আমরা আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে টিকাদানকারীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করে ফেলব।’