পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান, বাড়ছে যানজট।

চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজধানীতে যানবাহন যে হারে বাড়ছে সে হারে বাড়েনি পার্কিং সুবিধা। অন্যদিকে আইনের তোয়াক্কা না করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটের পার্কিং স্পেস দখল করে চলছে বিপণিবিতান। এমন অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভালের অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সিটি করপোরেশন বলছে, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন মার্কেটগুলোর বেইজমেন্ট উদ্ধারে শিগগির অভিযানে নামবেন তারা। যানজটের দৃশ্য নগরবাসীর কাছে নতুন কিছু নয়। বলা চলে যানজট এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। সবচেয়ে বেশি যানজটপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, পল্টন অঞ্চল। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৭টি মার্কেট এখানে। প্রতিটি মার্কেটে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। মার্কেট মালিক সমিতি তা দখল করে গড়ে তুলেছেন পাইকারি বাজারের বিশাল সম্ভার।

অথচ এ জায়গাগুলো নির্ধারিত ছিলও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারী থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার মানুষ।পথচারীরা বলেন, পার্কিং না থাকায় রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ফুটপাথে দোকান বসিয়ে রেখেছে। বছরের পর বছর মার্কেট মালিক সমিতি অবৈধভাবে পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান বরাদ্দ দেওয়ায় রাস্তার ওপর বাড়ছে যানবাহনের চাপ। তবে মার্কেট ফেডারেশন বলছে, বেইজমেন্ট উদ্ধারে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলেও ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি তাদের।ঢাকা দক্ষিণ সিটি মার্কেট ফেডারেশনের সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, যারা ব্যবসা করেছে সেখানে তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। এরপর যদি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা উন্মুক্ত করে দেয় আমরা সেটাকে সাধুবাদ জানাব।সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দেখভাল আর নজরদাড়ির অভাব বলে মনে করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক।তিনি বলেন, গুলিস্তান এলাকার জ্যামের মূল কারণ পার্কিংয়ের জন্য জায়গা নেই। আগে সিটি করপোরেশনকে সে জায়গা উন্মুক্ত করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *