ফেনীমুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল-ফল দিয়ে শুভেচ্ছা
ফেনী: ৬ ডিসেম্বর ফেনীমুক্ত দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের আয়োজনে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া জীবিত ফেনীর ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও মৌসুমী ফল উপহার দেওয়া হয়েছে।
রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনী ট্রাংকরোডস্থ ফেনী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা ফেনীমুক্ত হওয়ার গল্প শোনায় সহায়ের সদস্যদের।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন সহায়ের সভাপতি মন্জিলাআক্তার মিমি, সহায়ের সহ-সভাপতি ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম-এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সোলায়মান হাজারী ডালিম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ দুলাল তালুকদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল হক রিমন, সদস্য মো. রাকিব।
এর আগে সকালে ফেনী জেল রোডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় সহায়ের পক্ষ থেকে।
দুপুরে ফেনীসহ সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।
আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে দলে দলে ফেনী শহরে প্রবেশ করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন।শহরবাসী ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের সশস্ত্র মহড়া দেখেছিল। ফলে সকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনে অনেকে হতচকিত হয়ে ওঠেন।
অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের এ স্লোগান প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিলে দেখতে পান।
তখন সবার ভুল ভাঙতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সাধারণ মানুষ ফেনী শহরে মিছিলে যোগ দিতে শুরু করেন। এরপর জেলার বিভিন্ন স্থানে আটটি বধ্যভূমিতে শহীদদের মরদেহ শনাক্ত করতে বা তাঁদের কবর চিহ্নিত করতে ছুটে বেড়িয়েছিলেন স্বজনহারারা।

