প্রবাসী প্রগতিশীল লেখকের বাড়িতে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের জের ধরে হামলা, মামলা নিতে প্রত্যাখ্যান পুলিশের
নিজস্ব সংবাদদাতা
সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে সেক্যুলার মতাদর্শী বিভিন্ন লেখক/ব্লগার/কমেন্টারদের বাসায় বাসায় হামলা হয়েছে বলে সমর্থিত এবং অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে। এই হামলাগুলো কী সংঘবদ্ধভাবে হচ্ছে কিনা কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা অনুসারে, সেব্যাপারে এখনো অবধি কিছু জানা যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আক্রান্ত অনেকগুলো সূত্র জানাচ্ছে হামলাকারীরা কোনো না কোনো ইসলামী জঙ্গী সংগঠনের অনুসারী বলে মনে হয়েছে তাদের পোশাক/পরিচ্ছদ/আচরণ দেখে।
সিলেটের ছাতক থানাধীন জিয়াপুরের আদিবাড়ী প্রবাসী লেখক নুরুল আমিনের। বাড়িতে বাবা মা ও ছোট তিন ভাই বোন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় অনলাইনে এথিস্ট ইন বাংলাদেশ এবং এথিস্ট নোট দুটো ওয়েব-ব্লগে প্রকাশিত নুরুল আমিনের দুটো লেখাকে কেন্দ্র করে নুরুল আমিনের জিয়াপুর বাসায় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার উত্যক্ত করে উগ্রপন্থীরা। ২০ অগাস্ট রাতে সর্বশেষ আঘাত হানে দুষ্কৃতকারীরা এবং এই ঘটনায় নুরুল আমিনের বাবা শফিক আহমেদ ও ছোট ভাই আবু তাহের আহত হোন যখন বাসার ভিতরে ভাংচুরে ঢুকে পড়া উগ্রবাদীদের তারা বাঁধা প্রদান করতে যান। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা করেছেন কিনা জানতে চাইলে জানা যায় ছাতক থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম খান মামলা নিতে অস্বীকার করেছেন বলে জানা যায়। বরঞ্চ উলটো পরদিন, ২১ অগাস্ট, থানা থেকে এএসআই সাহাব উদ্দীন দুজন পুলিশ কন্সটেবলকে নিয়ে নুরুল আমিনের বাসায় এসে সতর্ক করে যান এই বলে যে নুরুল আমিনের বিরূদ্ধে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আছে। নুরুল আমিনের পরিবার জানান তাদের ছেলে বর্তমানে প্রবাসে, তার নিজস্ব মতামত এর কারণে তারা কেন হামলার শিকার হবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন নীরব থাকবে এটা তাদের বোধগম্য নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এবং নুরুল আমিনকে এ-ব্যাপারে মন্তব্যের জন্যে পাওয়া যায়নি।