কাজের স্বীকৃতি না থাকলে নারীর অবস্থার পরিবর্তন হবে না।

সন্তান লালনপালন থেকে শুরু করে নারীরা ঘরে যে কাজ করেন। সে কাজের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি না থাকলে নারীর অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। নারীর প্রতি সহিংসতাও দূর করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।

সম্প্রতি সময় সংবাদের ‘গৃহস্থালি শ্রমের স্বীকৃতি’ শিরোনামের সম্পাদকীয়তে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খান মুহাম্মদ রুমেলের সঞ্চালনায় সম্পাদকীয়তে যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক ডা. আবুল হোসেন।নারীর কাজের স্বীকৃতির বিষয়ে ফারাহ কবির জানান, কাজকে কাজ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা করি না। রোজকার বাস্তবতায় কিছু কাজ নির্ধারিত। এটা নারীরা করবে, এইগুলো পুরুষেরা করবে। পুরুষ সব সময় স্বাবলম্বী হতে চায় অথচ নারীদের শেখানো হয়েছে গৃহস্থালির কাজ। তবে বর্তমানে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। নারী-পুরুষ উভয়েই আয় করে সংসার চালাচ্ছেন। 

সম্প্রতি সময় সংবাদের ‘গৃহস্থালি শ্রমের স্বীকৃতি’ শিরোনামের সম্পাদকীয়তে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খান মুহাম্মদ রুমেলের সঞ্চালনায় সম্পাদকীয়তে যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক ডা. আবুল হোসেন।নারীর কাজের স্বীকৃতির বিষয়ে ফারাহ কবির জানান, কাজকে কাজ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা করি না। রোজকার বাস্তবতায় কিছু কাজ নির্ধারিত। এটা নারীরা করবে, এইগুলো পুরুষেরা করবে। পুরুষ সব সময় স্বাবলম্বী হতে চায় অথচ নারীদের শেখানো হয়েছে গৃহস্থালির কাজ। তবে বর্তমানে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। নারী-পুরুষ উভয়েই আয় করে সংসার চালাচ্ছেন। 

তিনি আরও বলেন, এটার জন্যে নারীকে বেতন দিতে হচ্ছে না। এই কাজের যদি স্বীকৃতি দেই, তাহলে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত পুনর্বণ্টনের একটা চিন্তা আসবে। নারীর সহযোগিতার জন্যে চিন্তা আসবে। নারীর ক্ষমতায়নের চিন্তা আসবে। পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, ইউরোপ-আমেরিকাতেও মোটামুটি এই ধারণাটি প্রচলিত আছে। এখানে দুইটা বিষয় আছে, প্রথমত স্বীকৃতি এবং দ্বিতীয়ত এটার যথাযথ মূল্যায়ন। আমাদের প্রধনমন্ত্রী নারীদের কল্যাণে সরাসরি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। পাসপোর্টে বাবার নামের পর মায়ের নাম সংযোজন করেছেন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদে তিনিই প্রথম তিনটি করে সিট নির্ধারণ করেছেন। এটা স্থানীয় পর্যায়ে নয়, সর্বত্র। বর্তমান সরকার নারীদের জন্যে সব কর্মক্ষেত্র খুলে দিয়েছেন। আমাদের দেশে সব পেশাই নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আমরা সব কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্যে সংরক্ষণ রেখেছি। আবুল হোসেন বলেন, সমাজের মানসিকতা এমন যে, যেখানে ইকোনমিক রিটার্ন নাই, ভ্যালুয়েশন নাই সেটাকে আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই না। আমাদের এই মানসিকতা একদিনে পরিবর্তন হবে না। ধীরে ধীরে এটা পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন প্রজন্ম এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *