তিন চোট নিয়ে সেই অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন টেন্ডুলকার

ইনিংসটি অনেকের চোখেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। মঞ্চটা ২০০৩ বিশ্বকাপ, বোলিংয়ে ছিলেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার ও আবদুল রাজ্জাকের মতো তারকা। মনে পড়ল? স্মৃতি সাড়া দিতে না চাইলে একটা সূত্র, শোয়েবকে কাট করে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে মারা ছক্কাটা ; যাক এবার ধরতে পেরেছেন। ৭৫ বলে শচীন টেন্ডুলকারের সেই ম্যাচ জেতানো ৯৮।

ভারত ২০০৩ বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। ফাইনালে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপ মাতিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। সর্বোচ্চ ৬৭৩ রান করেছিলেন, যা এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। টেন্ডুলকারের সেই রানের রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি। আর ১৮ বছর আগের সেই বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ উঠলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেন্ডুলকারের ওই ইনিংসের কথা উঠবেই। এমন ইনিংস যে প্রতিদিন দেখা যায় না!

চোটের সঙ্গে লড়েই ২০০৩ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন টেন্ডুলকার।
চোটের সঙ্গে লড়েই ২০০৩ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন টেন্ডুলকার।

বীরেন্দর শেবাগের সঙ্গে ওপেন করলে বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া শেবাগ-ই প্রথম বলটা খেলতেন। কিন্তু সেদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো করার জেদ থেকেই স্ট্রাইক নিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। বাকিটা সবাই মনে রেখেছেন—টেন্ডুলকারের ওই ইনিংসে ভর করে জয়ের ভিত পেয়ে যায় ভারত। তবে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কিন্তু সহজে এই ইনিংস খেলতে পারেননি। এমনকি গোটা বিশ্বকাপেই ভীষণ কষ্টে দেশের হয়ে রান করার চেষ্টা করেছিলেন টেন্ডুলকার। শরীরে তিন-তিনটি বড় চোট নিয়ে খেললে কাজটি তো মোটেও সহজ হওয়ার কথা নয়!

বিশ্বকাপ শুরুর আগে দৌড়ানোই ভীষণ কঠিন কাজ ছিল টেন্ডুলকারের জন্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরির মালিক অবশ্য বিশ্বকাপে পুরোটাই নিংড়ে দিয়েছিলেন দেশের জন্য। অ্যাঙ্কেলে চোট, হাঁটুতে চোট এবং প্রতিবার ব্যাটিংয়ে নামার আগে পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে নিতে হতো টেন্ডুলকারকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই ইনিংসের আজ ১৮ বছর পূর্তিতে টেন্ডুলকারের চোট নিয়েই বিশ্বকাপে খেলার তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *